
গল্প – মিষ্টি মেয়ের দুষ্টু
স্বামী
.
Part – 1
.
writer -Antor
.
.
সুমন ঘুম থেকে উঠ,
– কেন যাওতো পড়ে উঠবো।
– তুই কলেজে যাবি না।
– কলেজের কথা মনে হওয়া
তাড়াতাড়ি করে উঠে
পরলাম কারন কলেজে আমার
জান প্রান সব কিছু,,, কি
বুঝলেন না তো, একটু অপেক্ষা
করেন বুঝতে পারবেন।।
.
– কিরে ফ্রেশ হতে এতক্ষন সময়
লাগে।
– আসছি।
– তারাতাড়ি আস।
– এই যে দেখছেন একটু
আপনাদের সাথে কথা বলছি
এই টুকু সময় ওনার সহ্য হয়না।
– এই যে নবাব জাদা
তাড়াতাড়ি খেয়ে আমাকে
উদ্দার করেন।
– তুমি যে ভাবে বলছো মনে
হয় আমি তোমাদের বোজা।
– না তা হবে কেন লেখা
পড়ার কোন নাম নাই সারা
দিন শুধু ফাজলামি।
– আম্মু ফাও ফাও আমার নামে
মিথ্যা বলবা না তো।
– আহারে আমার রাজ পুত্র তো
অনেক লক্ষি একটা ছেলে এমন
ছেলে আর হয় না।
– তুমি আমাকে এভাবে অপমান
না করলে ও পারতে,আমার মত
ছেলে নিয়ে তোমার গর্ব
করা উচিৎ!
– হুম আপনাকে নিয়ে তো
আমার গর্ব করা উচিৎ যে
আমার ছেলে পোরা পাড়ার
মধ্যে এক নাম্বার বান্দর।
.
আমি আর কোন কথা বাড়ালাম
না নাহলে আম্মু মুজিবের
ভাষন শুরু করবে।
– নাস্তা শেষ করে
তাড়াতাড়ি করে কলেজের
জন্য বেরিয়ে পরলাম।
কলেজে যেয়ে দেখি ক্লাস
শুরু হয়ে গেছে..
– প্রতিদিনের মত আজ ও আমি
দেরি করে এসেছি।
– যদি কলেজে দেরি করে
যাওয়ার জন্য কোন নোবেল
পুরুষ্কার পাওয়া যাইতো
তাহলে আমি বিনা
প্রতিদন্ধিতায় পেয়ে
যেতাম।
.
– এ দিকে ক্লাসে এখন,, হিয়া
ম্যাম ক্লাস নিচ্ছেন
– এই পোরা ক্লাসের মধ্যে এক
মাত্র আমি হলাম হিয়া
ম্যাডামের শত্রু,, তার অনেক
কারন ও আছে তার মধ্যে
প্রধান কারন হল আমি ক্লাসে
কোন দিন সময় মত উপস্থিত
হতে পারিনি,, আর পড়া তো
আমি মনে হয় না কোন দিন
দিয়েছি।
– তারপর আমি বাহির থেকে
বললাম আসবো ম্যাম।
– আরে রাজ পুত্রের কি ঘুম
ভেঙ্গেছে ভিতরে এসে
আমাকে ধন্য করুন।
– ম্যাম আসতে চাই নি কিন্তু
আম্মুর জন্য আর না এসে পারলাম
না,, তবে ম্যাম আজকে
আপনাকে না অনেক সুন্দর
লাগছে আমার কথা শুনে
ক্লাসের সবাই হা হা হা
করে হেসে উঠলো।
তারপর ম্যাডাম বললো..
– চুপ বেয়াদব বেশি কথা
বললে বাহিরে কান ধরে
দার করিয়ে রাখবো।
আগামী দিন থেকে যদি
দেরি হয় তাহলে কান ধরে
দার করিয়ে রাখবো।
– আমি আর কিছু না বলে
ক্লাসে শেষ বেঞ্চে বসে
গেলাম।
কারন আমি ক্লাসের মধ্যে সব
থেকে ভদ্র ছেলে কিন্ত শুধু
একটু দেরি করে ক্লাসে আসি
আর কোন পড়া কলেজে উঠে
পারছি বলে মনে হয় না তবে
ম্যাডামের কাছে প্রতিদিন
আমার নামে কোন না কোন
মেয়ে একটা বিচার দিবে-ই
তাই ম্যাডাম আমাকে আদর
করে ডাকে বেয়াদব তবে
আমি নিজেকে ভদ্র বলে
দাবি করি।
– আজকে জুলি এক বারে
সামনের বেঞ্চে বসছে তাই
আর আজকে কোন কিছু করতে বা
বলতে পারছিনা ও জুলির
পরিচয় টা তো আপনাদের
দেওয়া হল না, জুলি হল আমার
জান প্রান, আমি আর জুলি বন্ধু
কিন্তু আমি জুলি কে তার
চেয়ে বেশি ভাবি,,
– জুলি আমার বাবার বন্ধুর
মেয়ে আমরা ও একে অপরের
বন্ধু।
.
এই জুলি কে অনেক বার
প্রপোজ করেছি,, তার
বিনিময় একটা করে চিমটি
পেয়েছি একে একে ক্লাস
শেষ,, তখন জুলি বেরিয়ে
যাচ্ছে..
– এই জুলি শোন ।
– না শুনার ভান করে চলে
যাচ্ছে।
– এই দারা কথাটা তো শুনে
যা।
– বল কি বলবি।
– এই তুই হুবু বর কে একটু সম্মান
দিয়ে কথা বলতে পারছ না।
– আসছে আমার হুবু বর বেহায়া
কোথাকার।
– দেখ একদম অপমান করবি না
আমার ভালবাসা এত সস্তা না
যে তুই বার বার অপমান
করবি।
– এই রাখ তোর ফাও পেঁচাল
কি বলবি বল।
– আমাকে তোর পেঁচাল মনে
হয়, যা কিছু বলবো না।
– এত ভাব রেখে বলতে বলছি
বল।
– বললাম তো বলবো না।
– তো ঠিক আছে আমি যাই।
– আরে শুনে যাবি তো,,কি
বলবো।
– তুই না এখন বললি বলবি না
তাই চলে যাচ্ছি।
– আজকে স্বপ্নে দেখি কি তুই
আর আমি হানিমুনে গেছি,
সিংগাপুর।
– তারপর।
– আরে একটু ধৈর্য্য ধর বলছি।
– তারপর আমরা অনেক
রোমান্স করলাম, তারপর তুই
আমাকে লিপ কিস করলি আমি
তোকে অনেক গুলা পাপ্পি
দিলাম তুই যা না খুশি হলি,,
তার কিছুক্ষন পর তুই জ্ঞান
হারালি তারপর আমি
তোকে বাংলা সিনেমার
নায়কের মত কোলে করে
হসপিটাল নিয়ে গেলাম,
তারপর ডাক্তার যা বললো
তা শুনে আমি আর তুই অনেক খুশি
হলাম ডাক্তার কি বলছে
জানিস ডাক্তার বলেছে তুই
মা হতে যাচ্ছিস।
তখন তোর চেহারা যে লজ্জা
লাল হয়ে গেছিলো আমি
দেখে তো আবার তোর
প্রেমে পড়ে গেছিলাম।
বলতো স্বপ্নটা কেমন হয়েছে,
অনেক সুন্দর না।
.
তাকিয়ে দেখি জুলি নাই
হঠাৎ গেল কোথায়, ঐ দিকে
তাকাইয়া দেখি জুলি ইয়া
বড় এক লাঠি নিয়ে আসতেছে
আমাকে মারতে দিলাম এক
দৌঁড় চাচা আপন প্রান বাঁচা
বাঁচলে জীবনে অনেক প্রেম
করা যাবে।
আজকের মত বাঁচি…
– পেত্মী একটা।
বলেন এভাবে কেউ মারতে
আসে,, আমার এখন ভয়ে গলা
শুকিয়ে খাঁ হয়ে যাচ্ছে
আচ্ছা আপনারা-ই বলুন আমি এমন
কি খারাপ বলছি শুনি
আমাকে এ ভাবে লাঠি
নিয়ে মারতে আসছে,, আল্লাহ
যেন এই ডাইনিটার
জামাইরে বাসর রাতে
উপরে তুলে নেয়,,
হায় হায় এ আমি কি বললাম
আমি নিজেই তো
ডাইনিটার জামাই হব,
আল্লাহ আমি দোয়া
ফিরাইয়া নিয়েছি তুমি এই
দোয়া কবুল করার দরকার
নাই।
.
– আমি দৌঁড়াচ্ছি আর
হাঁফাচ্ছি তখন এ কে যেন
চায়ের দোকানের টং
থেকে বললো কিরে এভাবে
চুরের মত পালাচ্ছিস কেন
পাগলা কুকুরে কামরাইছে
নাকি।
– তাকিয়ে দেখি আলীমুন,,
আলীমুন হল আমার বন্ধু মহলের
প্রধান মানে আমার জানে
জিগার।
– আরে বলিস না দোস্ত তোর
ভাবি তো বলছে আমি যদি
বাড়িতে দৌঁড়ে ফিরতে
পারি তাহলে আমাকে
নাকি ওসাইন বোল্টের
সাথে অলিম্পিকে দৌঁড়ের
রেলস নিবে।
– শালা মিথ্যাবাদী।
ভাবি তার মানে তোকে
মনে হয় পিঠাইতে
চাইছিলো।
– কেমন হারামি রে শালা
সব বুঝে গেল।
– এই শোন জুলি কখনো, এই
সুমনকে অপমান করতে পারে
না শত হলেও জুলি আমাকে
লাভ করে যদিও আমি পাত্তা
দেই না। (একটা ভাব নিয়ে
বললাম। পাঠক কি বলেন
নিজের মান সম্মান তো
টিকাইতে হবে নাকি)।
– আরে তাই নাকি ওই দিন
দেখলাম ক্যাম্পাসে ভাবি
সুমন নামের একটা ছেলেকে
কান ধরিয়ে ২০ বার উঠবস
করালো ছেলেটা দেখতে
তোমার মত।
– হারামজাদা তুই পাঠকদের
সামনে আমার মান সম্মানের
১২ টা বাঝিয়ে দিয়েছিস।
আসলে ঘটনা টা হয়েছে গত
কিছু দিন আগের ঘটনা জুলি আর
আমি বসে ক্যাম্পাসে আড্ডা
দিচ্ছি হঠাৎ করে আমার
মাথায় দুষ্টুমির বুদ্ধি
চাপলো তখন বললাম জুলি
দেখতো আমার চোখে কি
যেন পড়েছে খুব জ্বলছে
চোখটা।
– কোথায় কোথায় যেই না
দেখতে এল ওমনি আমি একটা
কিস বসিয়ে দিলাম সাথে
সাথে মহারানীর একশ্যান
শুরু এই আরকি।
– বেয়াদব তুই আমাকে কিস
করলি কেন,
– ছিঃ মিষ্টি বউ নিজের
বরের সাথে কেউ এরকম ভাবে
কথা বলে।
– তুই আমার বর তাই না।
– হুম বর এই তো।
– এবার বর সাহেব কান ধরে
বিশ বার উঠবস করেন।
– দেখ স্ত্রীর বেহেস্ত
স্বামির পায়ের নিচে সো
কথা আমার সাথে ভাল করে
বলতে হবে নয়তো তোমার
জান্নাতে যাওয়া অসম্ভব।
– তাই।
– হুম গো।
– তুই কি কান ধরে উঠবস শুরু
করবি না আমি আমার কাজ শুরু
করবো।
– তুই আবার কি করবি শুনি।
– প্রথমে প্রিন্সিপাল
স্যারের কাছে গিয়ে
বলবো তুই আমাকে কিস
করছোস তারপর আন্টি
আঙ্কেলের কাছে বলবো, তুই
আমাকে অনেক গুলা বাঝে
কথা বলছিস।
– প্লিজ প্লিজ তুই কাউকে কিছু
বলিস না।
– তাহলে কান ধরে উঠবস কর।
– বলছিলাম কি কিছু কমান
যায় না।
– তাড়াতাড়ি কান ধরবি না
আন্টি,,,,
– এই না না ধরছি,
– যেই না কান ধরে উঠবস শুরু
করলাম পাশ থেকে গননা শুরু
হল ১ তাকিয়ে দেখি আলীমুন
হারামিটায় মিটমিট করে
হাসছে, সাথে সাথে বড় আপু
গুলার সে কি হাসি আমার এই
অবস্থা দেখে।
.
তারপর পরের দুই দিন আর
কলেজে যাইনি,,
কি ভাবছেন আমি লজ্জার
কারনে কলেজে যাইনি
আসলে আমার গায়ে অনেক জ্বর
এসে গিয়েছিলো ওই
দিনের শাস্তির জন্য তাই
যেতে পারিনি।
.
.
চলবে……………………
Antor Added This into Love (20/05/2022)
|
33 Views
|